How to Improve Your Focus – 5 Small Changes



(আপনার মনোযোগ বাড়াতে ৫টি ছোট পরিবর্তন)


১. মোবাইলটা হাতেই ছিল, কিন্তু… (ডিজিটাল ডিস্ট্রাকশন থেকে মুক্তি)

রাফি পড়াশোনায় ভালো ছিল। মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা বই নিয়ে বসতো। কিন্তু একটাই সমস্যা—মন বসতো না। একটু পরপর ফোনের নোটিফিকেশন, TikTok স্ক্রল করা, Instagram-এ কার কী পোস্ট—সব কিছুর টানে সময় গলে যেতো।

একদিন সন্ধ্যায়, মা এসে বললেন,
— “রাফি, তুমি কি বইয়ের পাশে ফোন রাখো?”
— “আচ্ছা… রাখি তো,” মাথা নিচু করে বলল সে।
— “মনোযোগ যদি ফোনে থাকে, তাহলে বইয়ের পাতায় কিভাবে থাকবে?” মা চলে গেলেন।

সেদিন রাতে সে একটা সিদ্ধান্ত নিল। এক সপ্তাহ ফোন আলাদা ঘরে রেখে পড়ে দেখবে।
ফলাফল?
প্রথম ২ দিন অস্থির লাগলো। হাত চলে যেতো ফোনের দিকে। কিন্তু ধৈর্য ধরল। তৃতীয় দিন থেকে সে লক্ষ্য করলো—সে একটানা ৪০ মিনিট পড়তে পারছে, যা আগে ১০ মিনিটও পারতো না।

🔹 পরিবর্তন:

  • ফোনকে Study Killer Zone থেকে বাইরে রাখো।
  • Notion বা অন্য Productivity অ্যাপ দিয়ে Screen Time ট্র্যাক করো।
  • ফোকাস টাইমে Airplane Mode অন করো।

২. “ভাই, মাথায় ঢুকছে না কিছুই” – (ডিপ ওয়ার্ক-এর অভ্যাস গড়া)

মাহিন ঢাকায় একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে। কোর্স অনেক, কিন্তু মাথায় কিছুই থাকে না। YouTube, Facebook মিলিয়ে গড়ে দিনে ৬ ঘন্টা যায় অথচ সে ভাবে, “আমার তো সময়ই নেই!”

একদিন তার বন্ধু শুভ বললো, “তুই ‘ডিপ ওয়ার্ক’ ট্রাই করেছিস?”
মাহিন হাসে—“ওটা আবার কী?”

শুভ ব্যাখ্যা করে:
ডিপ ওয়ার্ক মানে হলো Distraction-Free Zone-এ গিয়ে নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করা। মানে, ওই সময়টায় তুমি শুধু একটাই কাজ করবে। মাল্টিটাস্কিং না। সোশ্যাল মিডিয়া না। কিছুই না।

মাহিন এক সপ্তাহ নিজের পড়ার ডেস্ক সাজিয়ে ২৫ মিনিটের Pomodoro সেট করলো। টেবিলে শুধু বই, একটা নোটবুক, আর একটা পেন। ফোন Silent-এ।
৭ দিন পর…
তার GPA ২.৭ থেকে বেড়ে ৩.৩ হলো।

🔹 পরিবর্তন:

  • দিনে অন্তত ২টি ২৫ মিনিটের ডিপ ওয়ার্ক সেশন করো।
  • Study Table Clean রাখো, Visual distractions সরাও।
  • একটা Timer অ্যাপ (যেমন: Forest) ব্যবহার করো।

৩. “আমি কিছুই শেষ করতে পারি না!” – (ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করো)

তামান্না ছোটবেলা থেকেই খুব খুঁতখুঁতে। কিন্তু এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে ওর অনেক কাজ আটকে থাকে। শুরু করে, কিন্তু শেষ হয় না।

সে একটা অনলাইন কোর্স কিনেছিল। ৪ মাসেও শেষ করতে পারেনি।

একদিন তার Mentor বললেন,
— “তুমি যদি Everest-এ উঠতে চাও, প্রথমেই তো চূড়ায় উঠতে পারবে না। আগে ছোট ট্রেইল পার হতে হবে।”
— “তাহলে?”
— “বড় কাজকে ভেঙে ছোট ছোট করে নাও। ১০ মিনিট ধরে শুরু করো।”

তামান্না এবার থেকে প্রতিদিন ঠিক করল—১০ মিনিট কোর্স দেখবে। কোনো চাপ না।
১০ মিনিট→১৫→৩০→৪৫ মিনিট।

৬ সপ্তাহ পর সে কোর্সটা শেষ করলো, আর একটা Internship-ও পেলো সেই কোর্স থেকে শেখা স্কিল দিয়ে।

🔹 পরিবর্তন:

  • কাজকে ভেঙে ছোট ছোট Task বানাও।
  • To-Do List-এ Bullet Pointে লেখো।
  • “Just 10 minutes” নিয়মে কাজ শুরু করো।

৪. “মন খারাপ হলে কিছুই ভালো লাগে না” – (ফোকাসের জন্য Emotional Health ঠিক করো)

জুনায়েদের জীবনে একটা বড় ধাক্কা এসেছিল। যাকে সে ভালোবাসতো, সেই হঠাৎ চলে যায়। পড়াশোনায় মন বসতো না, খাওয়া-ঘুম এলোমেলো। প্রতিদিনের রুটিন ভেঙে যায়। পরিবার-বন্ধুদের কথা শুনেও রাগ হতো।

একদিন তার ছোট ভাই বলল,
— “ভাইয়া, তুমি কি কাগজে লিখে দেখেছো তোমার কেমন লাগছে?”

সে অবহেলায় একটা খাতা নিয়ে লিখতে শুরু করলো:
“আজ মনটা খুব খারাপ। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। কিন্তু আমি জানি, আমি আবার আগের মতো হতে চাই।”

এই লেখার অভ্যাসটা প্রতিদিন চালু করল সে। এক মাস পর, নিজেই বুঝলো—সে আবার সকালে উঠে হাঁটছে, বই পড়ছে, ডায়েরি লিখছে।

🔹 পরিবর্তন:

  • Journaling করো, দিনে ৫ মিনিট শুধু নিজের মনকে বোঝো।
  • মন খারাপ হলে Self-Talk করো: “এই সময়টাও কেটে যাবে।”
  • ভালো ঘুমের রুটিন বানাও (৭-৮ ঘণ্টা, fixed সময়)।

৫. “সবই করছি, তাও ফোকাস আসছে না” – (শরীরকে যত্ন দিলে মন সাড়া দেয়)

মুনার অভিযোগ ছিল—সে সব কিছুই ট্রাই করেছে, কিন্তু একদম ফোকাস করতে পারে না। পড়তে বসলেই মাথা ভার লাগে, ঘুম আসে, ক্লান্তি এসে পড়ে।

তার Nutrition Coach একদিন বললেন,
— “তুমি ঠিকভাবে পানি খাও?”
— “মানে?”
— “তোমার শরীর হাইড্রেটেড না থাকলে ব্রেইনের ফাংশন ঠিকমতো কাজ করবে না। আর খাওয়ার টাইম? হেলদি খাবার খাও?”

মুনা তখন রুটিন তৈরি করল—
🔹 সকালে গরম পানি
🔹 ব্রেকফাস্টে ফল
🔹 দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি
🔹 দুপুরে কার্ব-প্রোটিন ব্যালান্স
🔹 রাতে হালকা খাবার
🔹 আর ৩০ মিনিট হালকা হাঁটা

এক মাস পর তার রিভিউ ছিল: “আমি আবার আগের মতো ফোকাস করতে পারি।”

🔹 পরিবর্তন:

  • পানি, ঘুম, খাওয়া—এই তিনটিকে ঠিক করো।
  • জাঙ্ক ফুড বাদ দিয়ে হালকা, পুষ্টিকর খাবার খাও।
  • দুপুরে ২০ মিনিট Power Nap নিতে পারো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *